মানব সভ্যতার পিছু ছাড়ছে না করোনা কিছুতেই। সেই যে ২০১৮-এর নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে চীনের উহান প্রদেশে কোভিড-১৯ এর প্রাণঘাতী অভিযান শুরু হয়, তারপর বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিলো। অবশ্য মানুষের অনেক সাধনার ফলে আবিস্কৃত টিকায় বিশ্বজুড়ে স্বস্তি ফিরে এলেও এখনও মাঝে মধ্যেই কোভিড’র পেছনে ফিরে চোখ রাঙানিতে মানব সভ্যতা কেঁপে কেঁপে ওঠে। মাঝে মাঝেই কোভিড নিয়ে বিজ্ঞানীদের সতর্ক বার্তা মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দেয়।
এই এবার যেমন চীনের একদল বিশেষজ্ঞ মানুষকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আসন্ন শীত মৌসুমে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ফের ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যেতে পারে। চীনের স্থানীয় সময় গত ১৩ নভেম্বর দেশটির রোগনিয়ন্ত্রণ দপ্তর সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি বয়স এবং সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীকে করোনারোধী টিকা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। সিডিসির এক তথ্যে বলা হয়েছে যে, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে দেশটিতে মোট ২০৯ জন নতুনভাবে করোনার প্রাণঘাতী ধরণে আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভুক্তভোগীদের সবাই ভয়াবহ ধরণ এক্সবিবিতে আক্রান্ত ছিলেন।
দেশটির শেনজেনের থার্ড পিপলস হাসপাতালের প্রধান লু হং সু সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, নতুন এই ধরণটি মিউটিশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই এটাকে হালকা করে দেখার কোন সুযোগ নেই। কখন কোন ধারণটা মরণঘাতী হয়ে হানা দেয়, কেউ তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না। তাই পূর্ব সতর্কতা অবলম্বনই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাণরক্ষার প্রধান উপায়। করোনার প্রথম ধাক্কা মানুষ খুব বেশি গুরুত্ব না দেয়ায় অনেক বেশি প্রাণক্ষয় হয়েছে বলে অনেক অভিজ্ঞজনের অভিমত। তাই কালক্ষয় না করে মৃত্যুর ঝুঁকি না নেয়াই হবে অভিজ্ঞজনের কাজ। সময় থাকতেই ভ্যাকসিন গ্রহণ করে নিজেকে সুরক্ষা দিন, প্রিয়জনদরে জীবনকেও নিরাপদ রাখুন। মনে রাখবেন, ‘ওয়ান ইন টাইম, সেইভ দি নাইন’।